কে.এম. হাছান ।। উচ্ছেদের পাঁচ মাসের মাথায় আবারও বেদখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথের জায়গা। সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা অসংখ্য দোকানপাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক উচ্ছেদ হলেও পাঁচ মাস পর পুনরায় সেখানে দোকান ঘর তুলছেন কয়েকজন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনকে আড়াল করে এসব স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে ভবনটির সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগে মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছেন তারা।
চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ পৌর শহরকে যানজট মুক্ত ও অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন প্রশাসন। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমুন নেসা, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযানে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথের ভূমির উপর স্থাপিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। কিন্তু জুন মাসে মোস্তফা রাঢ়ী পুনরায় সেখানে দোকান ঘর তুলে হোটেল ব্যবসা শুরু করেছেন। মায়ের দোয়া হোটেলের স্বত্বাধীকারী তিনিই। তাকে অনুসরণ করে চলতি মাসে ওহিদ মেম্বার ও মাওলানা সহিদ উল্লাহও সেখানে পুনরায় দোকান ঘর তুলছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যারাও ঘর তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সূত্রে জানাগেছে।
এ বিষয়ে দখলদার মোস্তফা রাঢ়ীর সাথে যোগাযোগ করেও (০১৯৪৯-৫২৩৯৮২) তাকে না পাওয়াতে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ডেপটি কমান্ডার মো. সারোয়ার এ প্রতিনিধিকে বলেন- সর্বশেষ যে উচ্ছেদ হয়েছে তা আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হয়েছিল। কিছু অসাধু মানুষ অবৈধ স্থাপনা তুলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সৌন্দর্যকে ম্লান করছে।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন- এ বিষয়ে আপনি ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলেন। উনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার জনতার চাঁদপুরকে বলেন- এই অভিযোগটি আমি আরো আগে শুনেছি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ভূমিটি সড়ক ও জনপথের। উনারা যদি আমাকে সঠিক তথ্য এবং সহযোগিতা না করে, আমি তাহলে কীভাবে কাজ করবো? অভিযান চালানোর জন্যে আমি প্রস্তুত আছি।
Leave a Reply