কে.এম. হাছান ।। সড়ক নেই যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা নৌকা। ২০২৩ সালে এসে দেখতে হচ্ছে এমন চিত্র। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভোক্তভুগিদের। নির্বাচন আসলে দেখা যায় প্রতিশ্রুতির কথা,বাস্তবে তা ভিন্ন। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, হাসপাতালগামী রোগী, জুমার মসজিদের মুসল্লীরাসহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দারা। এমন নির্মম পরিস্থিতি রয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বৈচাতলী গ্রামবাসী।
শীতের মৌসুমে কৃষি জমির সিমানা (আইল) দিয়ে চলাচল করতে পারলেও বর্ষার মৌসুমে কৃষি জমিগুলো পানিতে ডুবে যায়। বহু বছর ধরে স্থানীয়রা রাস্তা নির্মাণের দাবি করলেও আজ পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় বছরের পর বছর নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে। তাই পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ৫শ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হচ্ছে ডিঙ্গি নৌকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈচাতলী গ্রামের একটি অংশের প্রায় ৫ শ মানুষের বসবাস। চার দিকে অথৈ পানি। বসত বাড়ি থেকে বের হয়ে সরকারি রাস্তা সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত যাতায়াত করতে পারছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন না অনেক মুসুল্লিরা। শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অন্য এলাকার মানুষ একান্তই বাধ্য না হলে যেতে চান না এখানে। এমনকি চলাচলের রাস্তা না থাকায় মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারেন না বলেও জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া (৫০) আবুল কালাম (৬০) তৈয়ব আলী (৫৬)সহ বেশ কয়েকজন জানান, শীতের সময় জমির আইল দিয়ে আমরা কোন মতে পায়ে হেটে চলাচল করতে পারি। বর্ষার মৌসুম এলে প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট পানি থাকে, তাই নৌকা ছাড়া চলাচল করতে পারিনা। রাস্তা না থাকার কারনে আমাদের মেয়ে-ছেলেদের ভালো যায়গায় বিয়েও দিতে পারিনা । আমাদের রাস্তা পারাপারের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান মেম্বারদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, আমি দেড় বছর পূর্বে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিষয়টি আমি অবগত নয়। খোঁজ খবর নিয়ে তাদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।
Leave a Reply