মোঃ জাবেদ হোসেন ।। চাঁদপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাঁচা কলোনি এলাকার সুমনের বাড়িতে দোতলা টিনের ঘর বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কারিগর মোস্তফা বেপারী।
এতে বাড়ির মালিক ও কারিগরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। এই ঘর তৈরির পরিকল্পনাটি তাদের দীর্ঘদিনের এমনটিই জানালেন কারিগর মোস্তফা ও ঘরের মালিক। ঘরের কাজটি শুরু হয় গত ২০ জুলাই’২৩ খ্রিঃ আর কাজ সমাপ্ত হয় ১আগস্ট’২৩ খ্রিঃ । এদিকে ঘরের রং ও লাইটিং এর কাজ বাকি রয়েছে তা সমাপ্ত হলে আরো দৃষ্টিনন্দন দেখাবে বলে জানিয়েছেন কারিগর মোস্তফা কামাল। ঘরটি তৈরি করতে কাঠ, বাঁশ ,টিন, ফ্লাইবোর্ডসহ অনেক উপকরণ লেগেছে। জানা যায় ঘরটি সব ঋতুতেই বসবাসের উপযোগী। ঘরটির বিশেষত্ব হচ্ছে কোন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্তের প্রয়োজন হবে না সব সময় ঠান্ডা থাকবে। এর বারান্দাটিইও বেশ বড় মাপের একটি পরিবারের সকলে মিলে বসে অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন সবাই।
ঘরটিতে ঢুকলে মনে হবে যেন কোন ভিআইপি বাড়িতে ঢুকেছেন, দৃষ্টিনন্দন দোতলা টিনের বাড়িটি এতোই সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রথম চাঁদপুর শহরে কোনো দৃষ্টিনন্দন টিনের দোতলা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। এই বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত দর্শনার্থী দের ভিড় লেগেই থাকে।
আবার অনেকে দৃষ্টিনন্দন এই বাড়িটির কাজ দেখে নিজেরা তৈরি করবে বলে কারিগর মোস্তফা সাথে অনেকে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক সুমন বলেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল আমি দোতলা টিনেরঘর বানিয়ে বসবাস করবো, আজ আমার সেই স্বপ্নটা পূরণ করেছেন আমার কাছের বড় ভাই মোস্তাফা বেপারী ভাইয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমার এই বাড়িতে দোতলা টিনের ঘরটি তৈরি করার পর থেকে প্রতিনিয়তই দূর দুরন্ত থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে আসে, এটা দেখে আমার কাছে অনেক আনন্দ এই দোতলা টিনের ঘরের নাম দিয়েছি ঝুলন্ত বাড়ি।
দর্শনার্থীরা এ বিষয়ে বলেন, আমরা শুনেছি কাঁচাকলোনি এলাকায় দোতালা টিনের ঘর তৈরি করেছে এই সুবাদে আমরা এসে দেখলাম এই ঘরটি, দেখে আমাদের ইচ্ছে হয়েছে এইরকম ঘর আমরা তৈরি করতে পারি তাই কারিগরের সাথে যোগাযোগ করেছি।
এই বিষয়ে দোতালা টিনের ঘর তৈরি করার কারিগর মোস্তফার বেপারীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমার কাছে ছোট ভাই সুমন অনেকদিন যাবত একটি ঘর তৈরি কথা বলে সেই সুবাদে তার স্বপ্ন পূরণে ঘরটি তৈরির কাজ শুরু করি আর আমার মনে আলপনা দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন দোতলা টিনের ঘর তৈরি করি।
এই ঘরের তৈরি করতে কাঠ, বাঁশ ,টিন, ফ্লাইবোর্ডসহ অনেক উপকরণ লেগেছে। এই ঘরটি সব ঋতুতেই বসবাসের উপযোগী। এই ঘরটির বিশেষত্ব হচ্ছে কোন এসির প্রয়োজন হবে না সব সময় ঠান্ডা থাকবে। আর বারান্দায় পরিবারের সকলে মিলে বসলে অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করবে। মনে হবে যেন কোন ভিআইপি রেস্তোরায় বসে আছি।অনেকের মনে স্বপ্ন আছে অল্প টাকার বিনিময়ে একটি দোতলার টিনের ঘর তৈরি করবে তাহলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন আমি আপনাদের ইচ্ছেমতো যেকোনো ডিজাইনের ঘর তৈরি করে দিব।
আরেকটি কথা হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি আশ্রয়ন প্রকল্প রয়েছে যে ঘর গুলো তৈরী করে অনেক টাকা খরচ হয়। ওই বাড়ি ঘর গুলো পরিবেশ বান্ধন না। আমি যদি সেই সুযোগ পাই সেই টাকার মধ্যেই দোতলা বাড়ির নির্মান করে দিতে পারবো।
Leave a Reply