মোঃ জাকির হোসেন ।। ফরিদগঞ্জে একই পরিবারের ৪ জন প্রতিবন্ধীর বেঁচে থাকার আর্তনাদ, সমাজের দানবীর ও বিত্তবান প্রতি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান।
শুধু পিতা লোকমান মিজি নয় ৩ সন্তানও প্রতিবন্ধী। নিজের এবং সন্তানেদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাসা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী লোকমান মিজি ও তার পরিবার। বেঁচে থাকা এবং ভালো চিকিৎসার জন্য সমাজে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। ঈদ এলেই ফরিদগঞ্জের আনাচে- কানাচে সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিত্তবানেরা জাকাতের নামে শাড়ি বা লুঙ্গি বিতরণ করেন। তাই এলাকাবাসি লোকমানের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানেদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জানা যায় উপজেলার হাসা গ্রামের সিকান্দার মিজি স্ত্রী তৈয়বেননেছা প্রতিবন্ধী (তালুফাট) হলেও তার তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে লোকমান মিজিই শারিরীক প্রতিবন্ধীর শিকার হয। লোকমান মিজি জানান ৪ চার বছর বয়স পর্যন্ত সুস্থই ছিলেন। বয়স জখন ৫ বছর হয় তখন আস্তে আস্তে করে দু পায়ের মাংশ শুকিয়ে ষায়। তখন আর চলাফেরা করতে পারেন না। পরিবারের মুখে দু বেলা খাওয়ার জন্য দু হাতকে ব্যবহার করে দর্জির কাজ শিখেন। পরে একসময় বাড়ির সামনে হাসা মাদ্যসার সামনে দোকান দিয়ে বসেন কিছু দিন পর বাবা মায়ের অনুরোধে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কিছুদিন পর একে একে তার ১টি ছেলে ও ২টি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।সন্তান গুলো ও বাবার মত শারীরিক প্রতিবন্ধী। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সন্তানের সুস্হ করাতে নিজের সবকিছু বিক্রি করেও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেননি।ধীরে ধীরে নিজেও চলার শক্তি হারিয়ে ফেলায় এখন তার আয়ের পথটুকুও বন্ধ হওয়ার পথে। লোকমান মিজি জানান, তার দোকান এবং বাড়ির দূরত্ব বেশী না হলেও রিকশা ছাড়া আসা যাওয়া করতে পারে না। একই অবস্থায় তার ছেলে রাকিব(১৮),দু মেয়ে নিশু (১৬),মুক্তার ১৪,তারা বসে থাকলে উঠতে পারে না। আবার দাড়িয়ে থাকলে ও নিজে নিজে চলতে পারেনা। এর আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, চলনশক্তি হারানো রোগটি দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ের মাংশ পেশি শুকিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। জন্মগতভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যত্তির সন্তানরাই এই রোগের আক্রান্ত বেশী থাকে।এদিকে লোকমান মিজি তার সন্তানেদের চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে গিয়ে সহায় সন্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। পরিবারের মুখে দু বেলা দু মুঠো খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।এমন অবস্থায় সামাজের হৃদয়বান ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তি, বৃত্তশালী ব্যক্তি এই অসহায় পরিবারটিকে বাঁচাতে এবং চিকিসা করাতে এগিয়ে আসেন তা হলে তাদের ভিক্ষা নামক পেশাটিকে বেচে নিতে হবেনা। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ লোকমান মিজি, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৬১৪৬, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ফরিদগঞ্জ শাখা,চাঁদপুর।
Leave a Reply