স্টাফ রিপোর্টার ।। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় গাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের নামে প্রতারক চক্রের দৌরত্ব বেড়েই চলছে। দুই প্রতারক (১) মো: ওবায়েদুর রহমান শ্যামল , পিতা: আব্দুল করিম, মাতা: খালেদা খানম, পূর্ব কুনিপাড়া তেজগাঁও, ঢাকা। (২) নজরুল ইসলাম, ডেনসো অটোমোবাইল, পেপসি গলি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ঢাকা।
গত ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ রাত ৮ .০০টা থেকে রাত ৯ .০০ টার মধ্যে ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৮-১১২৮ গাড়ি টি ক্রয় করার কথা বলে গাড়ির মুল মালিক মোঃ তানবীরুজ্জামান মাছুম এর কাছ থেকে খালি স্টাম্পে সাইন নিয়ে কোনো টাকা না দিয়ে প্রতারক নজরুল বলেন আপনি চলে যান, আগামী ৪ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ আপনার গাড়ি বিক্রির টাকা আপনার ব্যংক একাউন্টে দিয়ে দিবো। নজরুল পূর্ব পরিচিত হওয়ায়, গাড়ির মালিক সরল মনে চলে যান। কিন্তু আজ ১০ আগষ্ট এখন পর্যন্ত প্রতারক নজরুল ও ওবায়েদুর রহমান শ্যামল তারা গাড়িও দিচ্ছে না, টাকাও দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে প্রতারক নজরুলকে ফোন দিলে, নজরুল বলে, গাড়ি ওবায়েদুর রহমান শ্যামলের কাছে। এই প্রতারক সাংবাদিক না হয়েও এশিয়ান টিভির ভুয়া স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে রেখেছে, এই বিষয়ে এশিয়ান টিভির সাথে যোগাযোগ করি আমরা, এশিয়ান টিভি কর্তৃপক্ষ বলেন এশিয়ান টিভির স্টিকার ব্যবহার করলে এই গাড়িটি আটক করে এশিয়ান টিভির কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য অথবা নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করার জন্য।
ওবায়েদুর রহমান শ্যামলের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, জিএমজি গ্রুপ একটি পুরাতন স্থাপনা ভাংগার ওয়ার্ক অর্ডার একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়, কিন্তু সেখানেও প্রতারণা করে ঐ ওয়ার্ক অর্ডারের টাকা নিজের নামে নেয়, এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান এবং মামলাটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় তদন্তের জন্য আছে। আরো জানা যায় এই ওবায়েদুর রহমান শ্যামল বিএনপি জামাত শিবিরের নেতা গাড়ি ভাংচুর অগ্নি-সংযোগের হুকুম দাতা। বিভিন্ন সময়ে জেল খাটারো অভিজ্ঞতা রয়েছে এই নেতার। ওবায়েদুর রহমান শ্যামলকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।
সে বর্তমানে গাড়ি নিয়ে পলাতক। গাড়ির মুল মালিক বর্তমানে দেশের বাহিরে থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে মোবাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছে।
প্রতারক নজরুলের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে, সে একজন ভুমিদস্য, সাধারন মানুষের জায়গা জোর করে দখল করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে গাড়ি চুরি করে এবং চোরাই গাড়ি কেনা-বেচা করে আসছে। চোরাইকৃত গাড়িগুলি তারা বিভিন্ন পেশার লোকজনদের কাছে নকল কাগজপত্র সহ বাজার মূল্যের কম দামে বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা অন্য একটি প্রতারক গ্রুপ যারা বিআরটি এর কর্মকর্তাদের সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নকল কাগজপত্র তৈরি করে থাকে তাদের সহায়তা নেয়।
এতো সব অভিযোগের পাহাড় নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ফোন কেটে দেয়।
Leave a Reply