চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসী দুই প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারালেন এক যুবক।
অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে পরিবারটি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ভিবিন্ন লোক থেকে সুদে মাধ্যেমে টাকা ধার করে জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান সাইদুল আমিন বাবু। বিদেশ নেওয়ার জন্য ভিবিন্ন প্রলোভন দেখালেও বাস্তবে ছিলে তার ভিন্ন চিত্র অর্থাৎ পুরোপুরি প্রতারনা। বিদেশে নিয়ে উল্টো বাসায় বন্দি করে অত্যচার করা অভিযোগ করে ভোক্তভুগি সাইদুল আমিন বাবু। পরে অন্যস্থানে নিজেই কাজ জোগাড় করলেও তার ভিসা বাতিল করেন দেন ওই মামা -ভাগিনা প্রতারক চক্রটি। কোন কিছু না বলে দুইদিন পরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে কিস্তি ও সুদের টাকা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন আসছেন লোকজন। কোন উপায় না পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় ক্ষতি পুরোন চেয়ে ৪ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি উপজেলার ফরিদগঞ্জ ১৪নং দক্ষিন ইউনিয়নের পশ্চিম হর্নিদূর্গাপুর গ্রামে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত ৮/৯ মাস পূর্বে সৌদি আরব নিবে বলে ভিবিন্ন ভাবে প্রলোভনে ফেলে একই গ্রামের এমরান হোসেন। তিনি তার মামার নিজেদের কোম্পানী আছে ওখানে ম্যানাজার পদে লোক নিয়োগ করা হবে। এই বলে সাইদুল আমিন বাবুর কাছে থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে ১২ ডিসেম্বর ২২ইং সালে সৌদি আরবে পাড়িদেন বাবু। সেখানে তাকে কথা দেওয়া সেই কাঙ্খিত কাজ দিতে পারেনি এমরান হোসেন ও তার মামা আব্দুর রহমান সবুজ।
এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বির্তক সৃষ্টি হয়। এর ভিতরে বাবু নিজের উদ্যেগে অন্যস্থানে কাজ খুজে নেয়। সেই খানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে এমরান ও সবুজ তার ভিসা বাতিল করে দেয় বলে দাবি করেন তিনি। অনেক অনুরোধ করেও আর থাকা হলোনা সাইদুল আমিন বাবুর। পরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে এসে টাকা চাইতে গেলে উল্টো তোপের মুখে পড়তে হয় প্রতারণার শিকার বাবুকে। কোন উপায় অন্ত না পেয়ে প্রতারক চক্রের এমরান পাটওয়ারী, মিলন বেগম, রৌশন আলী ও পাপিয়া বেগমের বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি র্দীঘ দিন কাতারে ছিলাম ঐ দেশের অভ্যান্তীরন সমস্যার কারনে আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই প্রতারক এমরান তার মামার সৌদিতে বড় কোম্পানী রয়েছে। সেখানে আমাকে ম্যানাজার পদে কাজ দেয়া হবে বলে আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কাজ না দিয়ে উল্টো আমাকে বন্দি করে রেখেছে। আমি এই বিষয়ে কথা বলায় আমার ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। আমি সুদে ও কিস্তিতে টাকা নিয়ে দিয়েছি। টাকার জন্য লোকজন আমার বাড়িতে আসে।
এমরানের মা আরেক প্রতারক মিলন বেগম বলেন, বাবুর কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। বাবু বিদেশ গিয়ে টাকা পরিশোধ করে দিবে বলেছে। বাবু কোন কাজ জানেনা।
স্থানীয় অহিদ মিয়া বলেন, বাবুর বিদেশের ব্যাপারে আমার ও আহসান পাটওয়ারীর সামনে কথা ফাইনাল হওয়ার পর এমরানে মায়ের কাছে টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা মিথ্যা বলছে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি এমরানদের বাড়িতে গিয়েছি। তাদেরকে বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করার জন্য।
Leave a Reply