নিজস্ব প্রতিবেদক ।। একবিংশ শতাব্দীর নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাধা পেরিয়ে নারীরা সমাজে মর্যাদার স্থানে প্রতিষ্ঠিত হতে সর্বদা সচেষ্ট। তবে এ জন্য নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে, হতে হবে আত্মনির্ভরশীল। আর স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।
এই বিশ্বাসে ‘বিজয়ী তৈরিতে বিজয়ী’ এই স্লোগানকে ধারণ করে চাঁদপুরে প্রথম প্রশিক্ষন বেইজ নারী সংগঠন “বিজয়ী” নারী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে শোকাবহ আগষ্টের আলোচনা সভা ও অসহাদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিজয়ী এর ২য় সরকারি নিবন্ধন পাওয়া এবং নারী উদ্যোক্তাদের পরিচিতি ও উৎসাহিত করে আরও এগিয়ে নিতে শুক্রবার (২৫শে আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের ৭ই মার্চ চত্ত্বরে এ উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধ শতাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন।
শোকের মাসে প্রতি বছরের মত এই বছরেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করেছে বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া ইশতিয়াক খান ।
আলোচনা সভার শুরুতে প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরনে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় “বিজয়ী” এর প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া ইশতিয়াক খান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে মহান শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা প্রতি বছরের মতো এই বছরও ছোট পরিসরে অসহায়দের নিয়ে আয়োজন করেছি।
২০২০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর ২০২২ সালে মহিলা অধিদফতর থেকে নিবন্ধন লাভ করে “বিজয়ী”। এবার ২০২৩ সালে ১৫ই আগস্ট যুব উন্নয়ন থেকে সরকারি নিবন্ধন সনদ লাভ করায় চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ সর্বস্তরের সুধীজনদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার স্যারের কাছে বৃষ্টির মধ্যে পোগ্রাম সফল করার লক্ষ্যে কলেজে এতো সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখবে। নারী সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিজয়ী ২০২০ সাল থেকে। বিজয়ী গত বছর ৫’শ শতাধিক নারীকে ফ্রি তে হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করে নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। ২০২৩ সালে আমাদের লক্ষ্য ৭’শ শতাধিক নারীকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষন করানো। সেই লক্ষে ৩’শ শতাধিক শিক্ষার্থী ও নারীকে প্রশিক্ষন প্রদান করেছি।
Leave a Reply